একটি ডিজিটাল বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তুলতে এশিয়া প্যাসিফিকের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে 'উই থিংক ডিজিটাল' নিয়ে এসেছে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ও রিসোর্স। 'উই থিংক ডিজিটাল'-এর মাধ্যমে মেটা বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ডিজিটাল কমিউনিটিকে একটা নতুন মাত্রার রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
ডিজিটাল সিটিজেনশিপ (নাগরিকত্ব) প্রযুক্তির যথার্থ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের দক্ষতার নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়ন। এসব দক্ষতার মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবেঃ
নিরাপদ থাকা, সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং কল্পকাহিনী থেকে সত্য নিরূপন করতে পারা।
সহমর্মিতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং প্রতিটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকেই গুরুত্ব দেয়া।
সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করতে পারা যে কীভাবে তারা একসাথে কাজ করে সমাজে আরও অবদান রাখার মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইনে ইতিবাচক উন্নয়ন নিয়ে আসতে পারে।
সুন্দর সম্পর্ক তৈরি এবং আরও ভালো থাকার পথ খুঁজে নেয়া।
দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক তৈরিতে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে আমাদের প্রত্যেকেরই ভূমিকা রয়েছে।
আমাদের শিক্ষাক্রমের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে তাদের ডিজিটাল আচরণ সম্পর্কে সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করতে সক্ষম করে তোলা। 'উই থিংক ডিজিটাল' প্রোগ্রামকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে এটাকে একটা পরিপূর্ণ শিক্ষাক্রম অথবা স্বতন্ত্র পাঠ হিসেবে উচ্চ প্রযুক্তি সুবিধা বা নিম্ন; যে কোনো পরিবেশেই প্রদান করা যায়। প্রতিটি পাঠ সুনির্দিষ্ট করে লিখিত এবং আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক যে কোন ভাবে প্রশিক্ষন প্রদানের ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতই গ্রহনে আপনাকে যথাযথ সহায়তা প্রদান করবে। একইসাথে এগুলো শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুসারে নিজের মতো পরিবর্তনও করে নিতে পারবেন।
ডিজিটাল ভিত্তিসমূহ
এই অংশের পাঠ আর কার্যক্রমগুলো শিক্ষার্থীকে কীভাবে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া যায় এবং ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা বুঝতে সহায়তা করে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের নিজের ও অন্যের তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল ডিভাইস ও সম্পদের সুরক্ষা সম্পর্কে জানতে পারে।
ডিজিটাল সুস্থতা
এই অংশের পাঠ আর কার্যক্রমগুলো শিক্ষার্থীকে তাদের নিজস্ব পরিচয়, অন্যদের সাথে সহমর্মিতা, নৈতিকতা ও ইতিবাচকতা বজায় রেখে সংযোগ তৈরি (ব্যক্তিগত বা সামষ্টিক দুইভাবেই) এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে ডিজিটাল বিশ্বের ঝুঁকিগুলো রোধ করতে সহায়তা করে।
ডিজিটাল সংযুক্ততা
এই অংশের পাঠ আর কার্যক্রমগুলো শিক্ষার্থীকে তাদের সাংস্কৃতিক বোধ ও সামাজিক বৈচিত্র্য, অন্যদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে শোনা, সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি, তার উপযোগিতা যাচাই ও সেটা শেয়ার করতে সাহায্য করে। যেসব দক্ষতা নিয়ে এখানে কাজ করা হয়: বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা, তথ্যের মান এবং মিডিয়া সাক্ষরতা।
ডিজিটাল ক্ষমতায়ন
এই অংশের পাঠ আর কার্যক্রমগুলো শিক্ষার্থীরা কিভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অংশগ্রহন করবে এবং তাদের আগ্রহের বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারনা করবে তা জানতে সহায়তা করে। যেসব দক্ষতা নিয়ে এখানে কাজ করা হয়: নাগরিক সংযোগ এবং কনটেন্ট তৈরি।
ডিজিটাল সুযোগ ও সম্ভাবনা
এই অংশের পাঠ আর কার্যক্রমগুলো শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল বিশ্বের সুবিধাগুলো কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয় দক্ষতা শিখতে সাহায্য করে। যার মাঝে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা, কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট ধারণা বোঝা ও প্রয়োগ করা, তথ্য বিনির্মাণ, সংগ্রহ, অর্থ নিরুপণ ও বিশ্লেষণ এবং সেই সাথে অনলাইন ও অফলাইনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।
অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা সক্রিয়ভাবে শিখতে উৎসাহিত করে। আমরা জানি যে, শিক্ষাকে যদি অংশগ্রহণমূলক করে তোলা যায় তাহলে এটি যেমন শিখনকে গতিশীল করে, তেমন শিক্ষাটি নিজের মধ্যে ধরে রাখা যায়। উই থিংক ডিজিটাল' এর মূল কন্টেন্ট এর পাশাপাশি আরো ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে যা সকল বয়সের শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া সক্রিয় এবং অংশগ্রহণমূলক করে তুলবে।